1. মায়া দেবী মন্দির
একাদশ শতাব্দীতে তৈরি এই মন্দির হরিদ্বারের অন্তত জাগ্রত মন্দির। কথিত আছে মায়া দেবীর নাম অনুসারে পূর্বে হরিদ্বারের নাম ছিল মায়াপুরি। মায়া দেবী মন্দিরে আপনারা তিনটি প্রতিমা দেখতে পাবেন যেখানে এক পাশে রয়েছে মা কামাখ্যা এবং অন্যপাশে রয়েছে মা কালী। সারা বছর ভক্ত সমাগম হলেও নবরাত্রি কুম্ভ মেল সর্বাধিক ভক্ত দেবীর দর্শনের জন্য আসেন।
2.পবন ধাম
গীতা ভবন সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত পবন ধাম হরিদ্বারের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। এই মন্দিরের সবথেকে বড় আকর্ষণ হল এই মন্দিরের ভেতরের সৌন্দর্য। এই মন্দিরের ভেতরের সকল কারুকার্য এবং দেব-দেবীর মূর্তি তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট কাঁচের টুকরো দিয়ে। হরিদ্দার স্টেশন থেকে খুব সহজে আপনারা যে কোন অটো রিক্সা বা ছোট গাড়িতে মাত্র দু কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পৌঁছে যেতে পারেন।
3.দক্ষ মহাদেব মন্দির
হরিদ্বারের কালখল অঞ্চলে অবস্থিত এই মন্দিরটি হরিদ্বারের পুরানো মন্দির গুলির মধ্যে একটি । মাতা সতীর পিতার নাম ছিল রাজা দক্ষ প্রজাপতি। যার নাম অনুসারে এই মন্দির। দক্ষ মহারাজার জীবনকালের বহু চিত্র এখানে দেখতে পাবেন। এই মন্দির মহাদেবের জন্য সমর্পিত যদিও সারা বছর এখানে আসেন কিন্তু শ্রাবণ মাসে সব থেকে বেশি পূর্ণর্থী এখানে দর্শন করেন। আপনারা সারা বছর সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এই মন্দির দর্শন করতে পারেন।
4. রাজাজি ন্যাশনাল পার্ক
রাজাজি ন্যাশনাল পার্ক অথবা রাজা জি টাইগার রিজার্ভ হরিদ্বারের টুরিস্ট স্পটের মধ্যে অন্যতম তার কারণ এখানে আপনারা জঙ্গল সাফারি করতে পারবেন। মোটামুটি দু থেকে তিন ঘণ্টার এই জঙ্গল সাফারিতে আপনারা হাতি ভাল্লুক বাঘের মতো বিভিন্ন জীবজন্তু দেখতে পাবেন। জঙ্গল সাফারি তে খরচ হতে পারে বাট পারসেন্ট সাড়ে সাতশ টাকা পর্যন্ত যদি আপনারা জিভ রিজার্ভ করেন তবে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। জঙ্গল সাফারির সময় সকাল ৬টা থেকে ৯টা এবং দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
5.মনসা দেবী মন্দির
মনসা দেবী মন্দির হরিদ্বারের প্রসিদ্ধ মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম। প্রতিবছর লক্ষাদিক ভক্ত মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য মন্দিরে আসেন। এই মন্দিরটি পাহাড়ের উপরে থাকায় আপনি রূপে করে অথবা এক থেকে দু'ঘণ্টা ট্রেক করেও মা মনসার দর্শন করতে পারেন। মন্দিরের দর্শনের সময় থেকে দুপুর বারোটা দুটো থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। এবং আপনারা যদি ও সন্ধি মাতা মন্দির দর্শনের জন্য একসঙ্গে রূপের টিকিট কাটেন তবে ৪১৯থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে এই টিকিটে আপনাদের মনসা মাতা মন্দিরের থেকে চন্ডীমাতা মন্দিরের পর্যন্ত মাঝের রাস্তর গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেয়া হবে।
6. চন্ডিদেবী মন্দির
শিবালিক পরবতের নীল পাহাড়ে অবস্থিত চন্ডী দেবী মন্দির একটি সিদ্ধিপিঠ। এই মন্দিরে মাতা চন্ডির পুজা করা হয়। এখানে আসার জন্য আপনাকে ৩০-৪০মিনিট ট্রেক করে উঠতে হবে। জদিও রোপ ওয়ের ব্যবস্থা ও রয়েছে। সারা বছর যেকোন দিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত যেকোন সময় আসতে পারেন মাতা চন্ডীর দরশনের জন্য। তবে এখানে সব থেকে বেশি ভির হয় চন্ডী চতুর্দশি, নবরাত্রি এবং কুম্ভ মেলের সময়।
7. হর কি পরি
হরিদ্বারে এসে সবার আগে দরশনিয় স্থান এটিই। হর কি পৌরী বা ব্রহ্মকুন্ড হল পবিত্র শহর হরিদ্বারের প্রধান ঘাট। এখানেই মা গঙ্গা নদী পাহাড় ছেড়ে সমতলের নেমেছে। কথিত এই স্থানের গরুর ভগবান ভুল করে অমরিত ফেলেছিলেন, তাই এই স্থানে স্নান করা পুন্ন মনে করা হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে পূর্ণ স্নান করেন। গংগা স্নানের সাথে সাথে এখানকার সন্ধা আরতি বিশব বিখ্যাত।
Comments
Post a Comment